দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ ঝিনাইদহে সদর উপজেলায় ত্রাণের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম নজরুল ইসলামকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে পাগলা কানাই ইউনিয়নের বাড়িবাথান, ফকিরাবাদ ও রাজাপুর গ্রামের কয়েকশ নারী পুরুষ ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
তাদের দাবি, চেয়ারম্যান তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড নেয় কিন্তু কোন ত্রাণ সহায়তা দেয় না। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর চেয়ারম্যানকে এম নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিক্ষোভকারীরা ত্রাণ দাবী করলে তর্কা-তর্কির জেরের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বিক্ষোভকারী এক নারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। সেসময়ে বিক্ষোভকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে মারধর শুরু করে। চেয়ারম্যান দৌড়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে ঢুকে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে চেয়ারম্যান কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ১০ টন চাউল বরাদ্ধ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে তালিকা করে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা হয়েছে।
এরপরও বাড়িবাথান, ফকিরাবাদ ও রাজাপুর গ্রামের ৫০০ পরিবারের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধ করা হয়েছে। তার তালিকা করা হচ্ছিল। এরমাঝেই ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে। আমি তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তারা আমার ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে তাদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য আশস্ত করার পর তারা বাড়িতে ফিরে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
দৈনিক প্রত্যয়/ জাহিরুল মিলন